সহজিয়ার পরম সুহৃদ অধ্যাপক কমলেশ ভৌমিক স্মরণে

২০২১ সালের আগস্ট মাসে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষের পথে, যে মারণ ঢেউ সামলাতে গিয়ে এদেশের সরকার ও প্রশাসনের কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে। তখন, চেনা-পরিচিত, বন্ধু-আত্মীয় বহু মানুষ যখন অকালে একে একে চলে যাচ্ছেন আমাদের অনেকেরই চারপাশ থেকে। তার মধ্যে কে করোনা আর কে স্রেফ আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার শিকার, তা যখন বুঝে ওঠাই দুষ্কর, সেই সময় কেই বা রেখেছি সদ্য অশীতিপর গেইল ওমবেটের চলে যাওয়ার খবর? ক’জন বাঙ্গালীই বা জানেন ভগিনী নিবেদিতারই মত এদেশের দরিদ্র মানুষের মধ্যে এই স্বাধীনতোত্তর ভারতবর্ষে বছরের পর বছর কাজ করে গেছেন এই বিদেশিনী। দলিত, পিছিয়ে পড়া জনজাতি, দরিদ্র মুসলমানদের মধ্যে তার কাজের ক্ষেত্র মারাঠাভূমি বলেই কি এই অজ্ঞানতা? কিন্তু দেখুন, যারা খবর রাখার তাঁরা কিন্তু রাখেন। রবীন্দ্রনাথের মত বুদ্ধিজীবী হয়ত একজনই হন। কিন্তু সহজিয়া পত্রিকা পেয়েছিল অন্ততঃ কিছুদিনের জন্য এমন একজন সমাজসচেতন ও সংবেদনশীল বুদ্ধিজীবীকে যিনি ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী’-এর লয়ে সদ্য প্রয়াতা গেইল ওমবেট ও তার অবদানকে আমাদের চিনিয়ে দিয়েছিলেন সহজিয়ার পাতায়। তিনি অধ্যাপক কমলেশ ভৌমিক, কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে বিগত ১৩-ই এপ্রিল, ২০২৩ মধ্যরাতে যিনিও আবার আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন বিদেশে তাঁর মেয়ের কাছে কয়েকদিন কাটাতে গিয়ে।

Read More