জান্নাতে জান্নাত আলি

কিঙ্কর আহসান

জান্নাত আরেকটু লম্বা হলেই আকাশের নাগাল পেতো।

মেঘের শরীর হাতাহাতি করে শরীরটা ভিজিয়ে নেওয়া যেতো তখন। শীতের ভেতর সূর্যটার একটু কাছাকাছি হয়ে রোদ পোহানো যেতো আরামে।

এই এতো এত্তো লম্বা হাত, পা তার। আজদাহা শরীর নিয়ে সে গাছের নিচে দাঁড়িয়েই আম, বড়ই পেড়ে ফেলতে পারে। বাড়ির সদর দরজা তার কাঁধ অব্দি এসে আটকে যায়। সবার সাথে তার মাথা নিচু করে কথা বলতে হয়। এমন না যে সে বিনয়ী খুব। কিন্তু লম্বা লম্বা পায়ের জন্য মাথা নামানো ছাড়া কথা বলার উপায় নেই। এলাকার ছেলেপেলেরা মজা করে কখনো তাকে ডাকে দেবদারু আর কখনো ডাকে মেহগনি গাছ। কেউ কেউ বলে জিরাফ। এসব শুনে মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়।  তার ইচ্ছে হয় দা দিয়ে এক কোপে পা কিছুটা কেটে ফেলতে! তিন, চার ফুট কমলেই সামলে নেওয়া যাবে!

জন্মের পর পরই এমন ছিলো না জান্নাত। অই মায়ের পেট থেকে বের হবার পর উচ্চতা, আকার একদম ঠিকঠাক ছিলো। সমস্যা শুরু হয় সাত বছর বয়স থেকে। হুট করেই সে মানুষ থেকে তালগাছ হয়ে যাওয়া শুরু করে। এই অল্প বয়সেই উচ্চতায় বাবাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সে’কি তোড়জোর। তার এমন তাড়াহুড়ো দেখে অবাক সবাই। মা ভাবলো জিনের আছড়। নইলে সাত বছরের ছেলের উচ্চতা পাঁচ ফুটের কাছাকাছি কী করে হয়!

বড় শরীরে ক্ষিধেও শালা রাক্ষসের মতোন। বাগানের লাউ, পটল, কাকরোল সব সাফ অল্প দিনেই। দিনমজুর বাবার কতটুকুনই বা সাধ্য!

লোকে বলে জান্নাত আলিকে সার্কাসে দিতে। আয় হোক কিছু। মা রাজি নয়। পরানের টুকরার কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না কিছুতেই। মায়ের মন বলে কথা!

গ্রামের ডাক্তার দেখানো হয়। বলেন হরমোনের সমস্যা কথা। সমস্যার কথা বললেও সমাধান দিতে পারেন না। দিনমজুর বাবার কানে কানে বলেন, ‘আল্লাহ আল্লাহ করেন, যেভাবে বাড়তেছে তাতে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষ হইয়া যেতে পারে। গিনেজ বুকে নাম উঠলে আপনার খালি সুনাম আর টাকা। হা হা।’

এইসব কথা ভালো লাগে না জান্নাত আলির। তার কোনো বন্ধু নেই। সমবয়সী সবার উচ্চতা তার হাটুর চেয়েও নিচে। জান্নাতকে তবে খেলায় নেবে কেনো তারা? অত বড় মানুষকে খেলায় নিলে লস বাপু। ক্রিকেট খেলায় জায়গায় দাঁড়িয়েই খটাখট ক্যাচ ধরে ফেলবে। বাদ জান্নাত, বাদ।

‘পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষ কে স্যার?’ ক্লাস এ বেঞ্চ এ বসে শিক্ষককে প্রশ্ন করে জান্নাত। অন্য সবাই দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেও তার দাঁড়ানো নিষেধ। ছাদে মাথা ঠেকতে পারে। ঝুকি নেওয়া যাবে না।

জান্নাতের প্রশ্ন শুনে ছাত্ররা সবাই হাসে।

সমাজ বিজ্ঞানের স্যার মানুষ ভালো। তিনি প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, ‘শোনো জান্নাত, তুরস্কের সুলতান কোসেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ। উচ্চতা তার আট ফুট তিন ইঞ্চি। তুমি ছাড়ায়ে যাবা নাকি তারে?’

জান্নাত কিছু বলে না। তার আর লম্বা হবার ইচ্ছে। এই লম্বাতেই অনেক কষ্ট। শরীরে নানান রোগ। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। কিছু হলেই দুমদাম জ্বর আর পেট পাতলা হয়।

তাছাড়া সবচেয়ে যন্ত্রনা মানুষের। আশপাশে কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করে তারে দেখতে। পুলিশ এসে কিছু বললেও শোনে না কেউ। পুলিশ নিজেও অবাক হয়ে তাকে দেখতে থাকে। সে’কি বাঘ, ভাল্লুক? এতো দেখার কী আছে?

মা খালি চোখের জল ফেলতে থাকে। বাবার সাথে ঝগড়া সারাক্ষন তার। বাবা বলেন, ‘গরীবের অত লম্বা জিন দিয়া কী হবো? এতো লম্বা পোলা দিয়া আমার ফয়দা নাই। একটা গেলে চাইরটা পয়দা করোন যাইবো। খেমতা কম নাকি আমার! এইডারে দিয়া দেই সার্কাসে। আমি আর রাক্ষইসা খাওন খাওয়াইতে পারুম না। সার্কাসে দিলে দুইডা আয় হইবো। কে শুনবো আমার কথা!’

সার্কাসের কথা শুনলেই মা দা হাতে নিয়ে জান্নাত আলিকে পাহারা দেন। তার বুকের ধনকে কেউ নিতে আসলে এক কোপে কল্লা নামায়ে দেওয়া হবে। বাবা এমন মাকে দেখে ভয় পান। আফসোস করতে করতে ঘরের বাইরে বের হয়ে কাজে মন দেন। মা স্বস্তি পান। লম্বা বলে জান্নাতের চুলে হাত বুলিয়ে আদরও করতে পারেন না সবসময়ে। তিনি এ বাড়ি ও বাড়ি কাজ করেন মাঝে মাঝে। ঘরে বেচার মতোন কিছু থাকলে বিক্রি করেন জান্নাতের জন্য। চাল কিনে আনেন। বড় শরীরে ভাতও লাগে বড় থালা ভর্তি। জোগাড় হবে কই থেকে?

শুধু ভাত হলে হয়? মাছ, মুরগি খেতে ইচ্ছে করে। শরীরে ফল ফলাদি দরকার আছে। পেয়ারা, কমলা, বেদানা..।

লম্বা লোকদের প্রেম নিষেধ। না, ক্লাস এইটের পর মেয়েদের ভালো লাগতে শুরু করে। জান্নাত আলি না চাইলেও মন চায়। ক্লাসের মেয়েরা সব ভয় পায় তাকে। গ্রামের বাচ্চা কাচ্চাদের ভয় দেখাতে হলে জান্নাত আলির কাছে নিয়ে আসা হয়। দুষ্ট ছেলেরা তার কাছে আসলেই সাইজ হয়ে যায়। সবাই যে ভয় পায় তাও না। কেউ কেউ তার বন্ধু হয়ে যায়। তাকে দেখে হাসতে হাসতে গল্প করে। তখন জান্নাত আলির নিজেকে খুব স্বাভাবিক মনে হয়। ছোট বাচ্চাগুলো আদর করে তাকে ছুঁয়ে দিলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।

জান্নাত আলির জন্য আলাদা করে খাট বানানো আছে। ঘরে জায়গা হয় না। তাই গরমকালে উঠোনেই পাটি পেতে শোয়। এক আকাশ তারা মাথার ওপর রেখে ঘুমোতে ভালোই লাগে। আকাশের তারা দেখে মনে হয় মস্ত পাতিলের গায়ে অসংখ্য ফুটো। সেসব থেকে আলো আসছে। কী সুন্দর! এই আলোর রেখা দিয়ে মালা বানানো যায়? কিংবা টিকলি। ক্লাসের সালমাকে দিতে ইচ্ছে করে। অই কোকড়া চুলের গালে টোল পড়া মেয়েটা। কীভাবে যে হাসে! দুনিয়া সুন্দর হয়ে যায়। জান্নাতের মনে হয় চারপাশে অসংখ্য প্রজাপতি উড়ছে। সালমাকে কিছু দিতে ইচ্ছে করে। নকুলদানা, লেইসফিতা, চুলের সুন্দর ক্লিপ এইসব দিলে সালমা একটা সুন্দর বিকেল তার সাথে কাটাবে না? উপহার দেবে না একটু আদর!

ভাবলে লজ্জা লাগে জান্নাতের। ছেলে হিসেবে সে যথেষ্ট লাজুক। ভাবনা অন্য দিকে যায় বাবার গালিগালাজ শুনে। তিনি ঘরের জন্য আর খাবার জোটাতে রাজি নন। বিশেষ করে জান্নাতের জন্য। এই ছেলের ক্ষিধে কমে না। শরীর অনুযায়ী বাঁচার জন্য যতটুকুন খাওয়া দরকার জান্নাত তার চেয়েও কম খায়। বাবা এসব কীভাবে বুঝবে?

তবে লোকটারও বয়স হচ্ছে। কম তো ছোটাছুটি করে না! জান্নাতের নিজের কিছু করা দরকার। তার মতোন দানব ধরনের মানুষকে কে চাকরি দেবে? সবাই ভয় পায়। তাছাড়া পরিশ্রমের কাজ খুব একটা করতে পারে না জান্নাত। উচ্চতার কারণে কোনো দোকানে কাজ করারও উপায় নেই। জান্নাতের খুব চিন্তা হয়। এইসব চিন্তা করতে করতে জান্নাত একদিন অসুস্থ হয়ে যায়। শহরের সরকারী হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা হবে এই আশায় বাবা তাকে নিয়ে আসেন শহরে। এই শহরের হাসপাতালে এসেই জান্নাত বিখ্যাত হয়ে যায়।

সে আসার পর শুধু বাইরের লোকজন নয়, হাসপাতালের অন্যান্য বেডের রোগীরাও তাকে দেখার জন্য ভিড় করে। হাসপাতালের বিছানাটা তার শরীর অনুপাতে ছোট অনেক। বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। লোকজন ছবি তোলার জন্য ভিড় করে। জান্নাতের খুব মন খারাপ হয়। কান্না আসে খুব। ছেলে বলে কাঁদতে পারে না।

সে আর দশজনের মতোন স্বাভাবিক এটা কাউকে বোঝাতে পারে না। এভাবে বিখ্যাত হবার ইচ্ছে তার নেই। সে স্বাভাবিক হতে চায়। সালমা বুঝবে তার কথা?

হাসপাতালে চলাফেরা মুশকিল। শরীরও দুর্বল। বিছানায়ই পড়ে থাকে জান্নাত। এর মাঝে সাংবাদিক আসেন একজন। জীবনে প্রথম ঠিকঠাক সাংবাদিক দেখার সুযোগ হয় জান্নাতের। সে বাবার সাথে কথা বলেন। চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করে দেবার কথা দেন। বাবা সাহস পান। দিনমজুর মানুষের পক্ষে এতোদিন ছেলের পাশে থাকা সম্ভব নয়। বিলাসিতা! আয় রোজগারের ব্যবস্থা তো করতে হবে!

সাংবাদিকের সাথে অনেকটা কথা হয় জান্নাত আলির। লোকটাকে ভালো লাগে। নিজের সব কথা বলে দিতে ইচ্ছে হয়। সব বলে জান্নাত। তার স্বাভাবিক হতে চাওয়ার গল্প বলে। মানুষের কাছে সে করজোড়ে ভিক্ষা চায় একটু স্বাভাবিক জীবন। সাংবাদিক সাহেব এসব লিখুক। পত্রিকার মধ্য দিয়ে সবাই জানলে হয়তো তার কষ্টটা বুঝবে। কেউ আর তাকে দানব মনে করবে না। মনে করবে ‘মানুষ’। সত্যিকারের মানুষ!

সাংবাদিক কথা দেন এসব ছাপবেন। জান্নাত যা বলেছে হুবহু তাই প্রকাশ করবেন পত্রিকায়। কথা দিয়ে কথা রাখেন না এই লোক। ‘শহরে দানবের দেখা’ এই শিরোনামে খবর ছাপেন তিনি পত্রিকায়। এভাবে নিউজ করলে কাটতি বেশি হয় বলেই তার জানা। ঘটনা সত্যি। জান্নাত আলি নামের এক দানব দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে হাসপাতালে। অন্য রোগীদের সমস্যা হলেও উপায় নেই। জান্নাত আলির কথা কেউ শোনে না। তার বিশ্রাম নেবার উপায় নেই। ওষুধ খাবার সময় নেই। সবাই এসে ছবি তোলে, গা ঘেষে দাঁড়ায়, পা টিপে টুপে দেখে অবাক হয়। বাবা এই অবস্থা দেখে ছেলেকে ছেলেকে গ্রামে নিয়ে যেতে চান। এখানে রাখার পরিবেশ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়তে রাজি হন না। ডিসি সাহেব আসবেন। তার ছেলে মেয়েদের দানব দেখার বড্ড শখ। ওসি সাহেব আসেন। আয়োজনের যাতে ঘাটতি না হয় সেদিকে কড়া নজর তার। ভিড় বাড়তেই থাকে। এই অবস্থায়ই যদি হবে তবে আগেই সার্কাসে পাঠানো যেতো ছেলেকে, ভাবে জান্নাতের বাবা। দিন নেই, রাত নেই মানুষ আসছেই। মজমা বসে যেনো জান্নাত আলিকে নিয়ে। বাইরে ঝাল মুড়ি, ভেলপুরি, ডাবের দোকানের সংখ্যা বাড়ে। এতো লোকজনের খাওয়া দাওয়ার তো দরকার আছে। শহরের মানুষদের বিনোদনের জন্য জান্নাত আলি খুবই জরুরি। প্রশাসনও মানুষের উৎসাহ দেখে ভিড় কমাতে সাহস পায় না। জান্নাত আলির শরীর আর টানে না। ডাক্তার, নার্সদের খোঁজ নেই। সারাদিন ছবি আর ছবি। মা কই? সালমা?

সাংবাদিকদের ভিড় বাড়তেই থাকে। রসালে সব খবর আসে পত্রিকায়। মানুষের আগ্রহ কমবে না জান্নাত আলিকে নিয়ে? ছবি তোলার সময়ে চোখ খোলা রাখতে হয়। জান্নাত আলির চোখ বুজে আসে ক্লান্তিতে। কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড জ্বর। ডাক্তারের খোঁজ নেই। দানবের শরীর গরম থাকে এটাই ছড়ায় মুখে মুখে। উচ্চতা কত তার? একজন মেপে জানায় পাক্কা আট ফুট। তুরস্কের লোকটাকে ডিঙিয়ে যেতে আরো চার ইঞ্চি লাগবে। মুখে মুখে আট ফুট দশ ফুট হয়। জান্নাত আলি বাড়িতে যেতে চায়। তার আর সহ্য হয় না। আশেপাশে বাবাকে দেখা যায় না। পালিয়েছে মনে হয়।

টিভি চ্যানেলগুলোর সাংবাদিকরা আসে। ছবির পাশপাশি এবার কথাও বলতে হয়। ক্লান্তিতে কথাও জড়িয়ে আসে। মানুষ বোঝে না। জান্নাত আলি মানুষ হতে চায়। কিন্তু এমন অবুঝ মানুষ হবার ইচ্ছে তার নেই।

খুব জ্বরে একদিন জ্ঞান হারায় জান্নাত আলি। বাবা নেই পাশে। মা নেই। সালমাও নেই। আশেপাশে অনেক মানুষ কিন্তু কাছের মানুষ নেই। ডাক্তার আসে। হৈ চৈ পড়ে যায়। জ্ঞান হারিয়েছে দানব। এও এক দেখার মতোন দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখতে মানুষ ভিড় করে। সাংবাদিক আসে। নিউজ হয়। কিন্তু এটাই শেষ নিউজ!

জান্নাত আলির জ্ঞান আর ফেরে না। দুম করে মরে যায় মানুষ হবার চেষ্টা করা দানবটা! এটা কোনো কথা।

লোকজন লাশ দেখতে আসে। তাদের বিচলিত মনে হয়। জান্নাত আলি মরার দুঃখ তাদের নেই। তারা বিচলিত বিনোদন নিয়ে। এখন কোথায় যাওয়া হবে?

একজন সাংবাদিক এর মাঝে খবর আনে একজন সবচেয়ে বেশি খর্বাকায় মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে। একদম ছোট। লিলিপুট। মানুষ শুনে উল্লসিত হয়। কই, কই, কই সে খাটো মানুষ?

ঠিকানা পেয়েই সেদিকে আবার ছুটতে থাকে বিনোদনের জন্য সাংবাদিক, কবি, নার্স, ওসি, ডিসি, ডিসির ছেলেমেয়েরা। নিউজ হবে নিউজ! রসালো সব নিউজ। আর জান্নাত আলির লাশ পড়ে থাকে মেঝের ওপর। অত বড় দেহ বিছানায় রাখা যায় না। কাফনের কাপড় কত বড় হবে? কফিন? কবর?

জান্নাত আলির মা আসবেন। খুব কাঁদবেন। বাবা কাঁদবেন কিনা জানি না। সালমার জান্নাত আলির ভালোবাসার কথা জানা হলো না। দানব জান্নাত আলি মানুষ হতে চেয়েছিলো। স্বাভাবিক মানুষের জীবন চেয়েছিলো। মানুষের কারনেই সেটা হলো না। কেন জানি মনে হয় মরার আগে জান্নাতের মানুষ হবার ইচ্ছে মরে গিয়েছিলো। মানুষ যদি এমন নির্মম হয় তবে দানব হওয়াই ভালো। জান্নাত মানুষ হতে চায় না। মানুষ বড় নির্মম, নিষ্ঠুর, ভয়ানক।

অতঃপর দানবের জন্য ভালোবাসা রইলো। আট ফুট উচ্চতার ভালোবাসা!

Website | + posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *