ব্রতীন রায়
অনেক রাত অব্দি নেটফ্লিক্সে ফিল্ম দেখে আবার খুব সকালে উঠে পড়তে হলো। অয়নের তখনও চোখ জ্বালা করছে। আজ দুপুরে অনেকগুলো অ্যাপার্টমেন্টে যেতে হবে প্রোডাক্ট নিয়ে। আগাম পারমিশন নেওয়া আছে।
“তোমাকে বলেছিলাম সময় নিয়ে আসতে!”
“কী করবো ডারলিং! বস আটকে দিল।”
“টুবাই একটু পরেই চলে আসবে স্কুল থেকে।”
“আরে , টুবাই আসবে। টুবাইয়ের বাবা তো নয়।”
“ঢং ছাড়ো! আমার গিফটটা এনেছো?”
“একদম। তুমি বললে আমি সব করতে পারি।”
“ন্যাকা! দাও তো তোমার ওই প্রোডাক্ট থেকে ম্যানেজ করে! আমি কি বুঝি না?”
“কী যে বল না! আজ একবার বাথরুমে চলো। একসাথে চান করবো। একটা জার্মান জেল এনেছি। তোমার সারা গায়ে মাখাবো।”
“অসভ্য কোথাকার !”
ফ্লাটের মিউজিক সিস্টেম আর শাওয়ারের শব্দ একসাথে মিশে যায় যেমন মেশে অয়ন আর সুস্মিতা। বেল বাজানোর আগে আইহোলে চোখ রাখা অয়নের খুব বাজে অভ্যাস। যদি কিছু দেখা যায়। অন্তত আভাস। আসলে দরজার আই হোলে এমন অনেক গল্প থাকে।