জ্যোৎস্না রহমান
মেয়েটির শূন্য থালায় পাকস্থলীর জ্যামিতি আঁকা ছিল,
অদম্য ইচ্ছের ভাঁজে যত্ন করে রাখা ছিল
স্কুলের গন্ধ
আর হাওয়াই মিঠাই ভেবে চিবিয়ে খেত স্বপ্ন।
একদিন সেও দূর থেকে উড়ে আসা
ভাতের গন্ধ শুঁকে
ছোট ছোট পা ফেলে পাড়ি দিল ভিন রাজ্যে
আর তুলতুলে পিঠে তুলে নিল শ্রমিকের বোঝা
যা খিদের থেকে হয়তো কম ভারি।
মেয়েটি লকডাউনের মানে বোঝেনি
বোঝেনি ভাইরাসের কর্মকাণ্ড।
যখন পিঠে পরিযায়ী শ্রমিকের লেবেল সেঁটে দিল
তখন পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার পথে
মৃত্যু তাকে বুঝিয়ে দিল
এ দেশের হৃৎপিণ্ড বলে কিছু নেই।