মৌলিক গবেষণা

দিলরুবা খাতুন

এইভাবেই গবেষণায় কর্মরত অবস্থায় ডঃ হিমেন চৌধুরী হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়েছেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো ডঃ তন্ময় গোস্বামী অন্তর্ধানে।

একদিন হঠাৎ অতীশের বাড়িতে এসে তন্ময় নিজের গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করলো। এরা অবশ্য বরাবরই একে অপরের সাথে গবেষণায় বিষয়ে শলাপরামর্শ করে, সেই বিশ্বাস পরস্পরের প্রতি আছে গবেষকদ্বয়ের।

তন্ময় জানায় এক নতুন মৌলের সন্ধান পেয়েছিলেন ডঃ চৌধুরী এবং তিনি তন্ময়ের সাথে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তন্ময় তার সাথে কাজ শুরু করার আগেই তিনি হঠাৎ নিরুদ্দেশ হন। তারপর তাকে দেওয়া কথা অনুসারে তন্ময় তার কাজের দায়িত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু করে।

তন্ময় জানায় মৌলটির কিছু বিশেষত্ব আছে সেটি নিজের গঠন পরিবর্তন করতে পারে।

এই বিষয়ে কৌতূহলী হওয়ায় অতীশকে গবেষণাগারে সেই মৌলের আকরিক প্রত্যক্ষ করতে নিয়ে যায় তন্ময়। তারপর অতীশও সেই মৌলের গবেষণায় জড়িয়ে পড়ে।

গতকাল তন্ময় নিরুদ্দেশ হয়েছে তাই আজ রাতের মধ্যেই গবেষণার তথ্যাদি সম্পর্কে লেখা শেষ করতেই হবে অতীশকে।

এই মৌলটির অদ্ভুত শক্তি সম্পর্কে যতদিনে সবটা স্পষ্ট হলো ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই অদ্ভুত মৌলটি দিনের বিশেষ সময়ে গঠন পরিবর্তিত করে তেজস্ক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এর বিকিরণ অন্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের থেকে ভিন্ন। এর বিকিরণে শরীরের অঙ্গগুলি অদৃশ্য হতে থাকে একে একে।

তন্ময় এইভাবেই তার চোখের সামনে মিলিয়ে গেছে গতকাল। লেখাটা তাড়াতাড়ি শেষ করতেই হবে কারণ নিজের বাঁ হাতটা এখন আর দেখতে পাচ্ছে না অতীশ।

Website | + posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *